পাল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা এবং বিহারে শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছিল। পাল যুগের বাংলায় শিক্ষা-দীক্ষায় ব্রাহ্মণদের থেকে বৌদ্ধ প্রভাব অনেক বেশি পড়েছিল। বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের লেখা বহু বই আজ হারিয়ে গেছে। তবে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদের মধ্য দিয়ে এদের কিছু-কিছু অস্তিত্ব জানা গেছে।
বৌদ্ধ দার্শনিকদের জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র ছিল আজকের বিহার, পশ্চিমবলা এবং বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা বৌদ্ধবিহারগুলি। নালন্দা, ওদন্তপুরী (নালন্দার কাছে), বিক্রমশীল (ভাগলপুরের কাছে), সোমপুরী (রাজশাহী জেলার পাহাড়পুরে), জগদ্দল (উত্তরবঙ্গে), বিক্রমপুরী (ঢাকা জেলা) প্রভৃতি বিহারগুলি ছিল উল্লেখযোগ্য। পালরাজাদের সমর্থনে ও বৌদ্ধ আচার্য এবং ছাত্রদের উৎসাহে এই বিহারগুলিসেকালের শিক্ষা-দীক্ষায় বড়ো ভূমিকা নিয়েছিল। আচার্য ও ছাত্রদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বাঙালি। আচার্যদের মধ্যে খ্রিস্টীয় অষ্টম-নবম শতকে শান্তরক্ষিত, শান্তিদেব, কম্বলপাদ ও শবরীপাদ এবং দশম শতক থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান (অতীশ), গোরক্ষনাথ ও কাহ্নপাদ ছিলেন উল্লেখযোগ্য।