চর্যাপদ হলো খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকে লেখা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের কবিতা ও গানের সংকলন। চর্যাপদে যে ভাষা রয়েছে তা হলো আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন। আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে এই চর্যাপদ-এর পুঁথি উদ্ধার করেন।
বৌদ্ধ ধর্মমতে নির্বাণ (মুক্তি) লাভ করলে বারবার মানুষকে জন্মাতে হয় না। কুষাণ সম্রাট কশিষ্কের (খ্রিস্টীয় প্রথম শতক) সমসাময়িক লেখক অশ্বঘোষ বৌদ্ধধর্মে নির্বাণ বা মুক্তি বলতে কী বোঝানো হয় তা খুব সুন্দর একটা উপমা দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি লিখেছিলেন যে, প্রদীপের তেল ফুরিয়ে গেলে যেমন তার শিখা নিভে যায়, জীবনে ক্লেশ বা দুঃখের অবসান হলে চিরতরে মুক্তি বা নির্বাণ মেলে। এই ব্যাখ্যা বৌদ্ধধর্মের হীনযান শাখার। মহাযানীদের ধারণা ছিলো যে নির্বাণ এমন একটি অবস্থা যেখানে কোনো কিছুই নেই। পরবর্তী কালে অবশ্য এই। ধারণাগুলোতে অনেক রকম। পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম শক্তিশালী ছিল। তারা নারী ও পুরুষ উভয়ের ভূমিকাকেই গুরুত্ব দিত।