দক্ষিণ ভারতে অর্থনীতিকে মন্দির কিভাবে প্রভাবিত করেছিল?

দক্ষিণ ভারতের রাজশক্তিগুলি বহু মন্দির তৈরি করেছিল। সেগুলি শুধুমাত্র পুজোর জন্যই ব্যবহৃত হতো না। তাঞ্জোর এবং গঙ্গাইকোল্ডচোলপুরমে চোল শাসক রাজরাজ এবং রাজেন্দ্রর সময়ে দুটি অসাধারণ সুন্দর মন্দির তৈরি হয়। মন্দির ঘিরে লোকালয় এবং শিল্পীদের বসবাস গড়ে উঠত। মন্দির কর্তৃপক্ষকে রাজা, ব্যবসায়ী ও অভিজাতরা নিষ্কর জমি দান করতেন। সেই জমির ফসল মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের জীবনযাপনের জন্য লেগে যেত। পুরোহিত, মালাকার, রাঁধুনি, গায়ক, নর্তক-নর্তকী প্রমুখ মন্দির চত্বরে থাকত। চোল রাজ্যের ব্রোঞ্জ হস্তশিল্প খুব বিখ্যাত ছিল। তামিলনাড়ু অঞ্চলে কাবেরী এবং তার শাখানদীগুলি থেকে খাল কেটে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়। ফলে কৃষি উৎপাদন বাড়ে, কোথাও বছরে দু-বার ফসল ফলানোও সম্ভব হয়। যেখানে সেচের সুযোগ কম ছিল, সেখানে বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য পুকুর, বিল কাটা হতো। কোথাও কুয়োর ব্যবস্থাও ছিল।

Login / Register

(x)
Activation


(x)
Update password

(x)
Enter password


(x)
Optimized by Optimole